ব্রেকিং নিউজ :
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আগামীকাল শিব নারায়ন দাশের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নীলফামারীতে ৩ হাজার ১৭০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী নাসুম-ইমরুল নৈপুন্যে ডিপিএলে অষ্টম জয় মোহামেডানের টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৯
  • ৩১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সকলকে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা মিতব্যয়ী হতে পারলে- লাভবান হবো।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই পরামর্শ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে  অনুষ্ঠিত সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। 
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন। 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রধান বলেছেন মিতব্যয়ী হতে হবে। আসুন সবাই মিতব্যয়ী হই। তিনি গোটা আমলাতন্ত্রসহ সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা সাধারণ নাগরিক আছেন সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
এম এ মান্নান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অভিঘাত আমাদের উপর পড়েছে। জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যে পণ্য আমরা নিজেরা উৎপাদন করি না-সেটার অভিঘাত মোকাবিলার জন্য আমাদের সতর্ক হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মূলত এ কারণে দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশনা প্রতিনিয়তই দেন। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আগেও বলেছিলেন, গরমের সময় অফিসে কোর্ট-স্যুট না পরতে। এছাড়া সরকারি অফিসগুলোর এসি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চালানোর জন্য বলেছিলেন। অপচয় না করতে প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলে আসছেন। 
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো সরকারি প্রকল্প লাভজনক হলে সে মুনাফা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধনুয়া হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
শামসুল আলম বলেন, হাসপাতালের মত স্থাপনার সামনে মেট্রোরেল চলাচলের শব্দ কমাতে সাউন্ড ব্রেকার বসানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, মেট্রোরেলের ল্যান্ডিং স্টেশনে গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতেও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,  গ্রামীণ পর্যায়ে সড়ক, কালভার্ট কিংবা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে মান যেন অক্ষুন্ন থাকে সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগকে সজাগ থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প আরও নেয়া হবে বলে জানান এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি ভোজ্যতেল, চালসহ আরও কিছু ভোগ্য পণ্যের দাম নিম্নমুখী। যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে-তাতে আগামীতে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, আগামী রোপা আমন চাষীরা যেন ভালভাবে আবাদ করতে পারে, সেজন্য প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক দেওয়ার বিষয়ে একনেক সভায় আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সদ্যসমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮২ দশমিক ১১ শতাংশ।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে গণভবনে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, তাঁরা দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সেদেশের জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে এটি ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশ¯্রবাহিনী ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাঁদেরকেও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বৈঠকে ভারতের সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের কথাও জানান।
জেনারেল মনোজ পান্ডে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর ছিল এবং এটি এমন এক ত্যাগের প্রতীক যা নতুন প্রজন্মকে দেশকে ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থাপনাটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল, যেন ইতিহাসে ভ্রমনের মত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফর দুই বাহিনীর সম্পর্ক সুসংহত করতে ভূমিকা পালন করবে।
ভারতের বিজয় দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন যা ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘প্রয়াস’ পরিচালনার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন - এটি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য পরিষেবা প্রদান করে।

 

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন প্রতিবেদন পেশ  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয়  কমিটি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটির প্রতিবেদন পেশ করেছে।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ২৩৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি নামে দুটি কমিটি গঠন করে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ‘মুজিব বর্ষ’ শুরু হয়। এ উপলক্ষে জাতীয় উদযাপন কমিটির উদ্যোগে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনেক অনুষ্ঠান ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তবে,এই উদযাপন অনুষ্ঠানে মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ তাদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোয়, আয়োজনটি একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।
নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুর উপর ডিজিটাল ভিডিও ও ছবি সম্বলিত প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বমানের স্মারক গ্রন্থ, সংকলনগ্রন্থ, স্যুভেনিয়র প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও, ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ‘মুজিব চিরন্তন’ নামের ১০ দিনব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান এবং ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়, যেগুলো ব্যাপকভাবে প্রশংশিত হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব বর্ষ সমাপ্ত হয়।
এদিকে, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সেন্টারের প্রতিবেদনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat