জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয় চট্টগ্রামে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় তার আত্মার শান্তি ও দেশবাসির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অনেক মানসিক বেদনা নিয়ে হাজির হয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাত্রিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে কতিপয় সেনা সদস্যের প্রথম গুলিতে ক্যাপ্টেন শেখ কামাল শহীদ হয়েছিলেন। তিনি একাধারে শিক্ষা, রাজনীতি ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারাণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, শহীদ শেখ কামাল আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিদেশী কোচ নিয়োগ দিয়েছিলেন যা ছিল উপমহাদেশের প্রথম বিদেশী কোচের নিয়োগ। তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন হিসেবে হাজার বছর বেঁচে থাকবেন।
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেদু’র সঞ্চালনায় এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আলী আব্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, শেখ কামালের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন। পরে ৭৩তম জন্মদিনে শেখ কামালের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জয়নাল আবেদীন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন। এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, জেলা তথ্য অফিসসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তর এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় সেখানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হয় শ্রদ্ধার্ঘ।