• প্রকাশিত : ২০২২-০৯-২৭
  • ২৮৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কোভিডে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এ মাসের সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১৮ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭ জন ও মিরসরাই উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৯৭৪ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯১৭ জন। জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর। এদিন দশ ল্যাবরেটরিতে ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ছিল ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৬ ও গ্রামের একটি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১১ জনের নমুনায় শহরের ৪ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটালে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে পরীক্ষিত ৪৪ জনের নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও ল্যাব এইড এবং এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২০, চমেকহা’য় ৩৬ দশমিক ৩৬, শেভরনে ১০ দশমিক ৩৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৭ দশমিক ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat