• প্রকাশিত : ২০২২-১১-১০
  • ২৩১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাঙালির পক্ষে কূটনৈতিক যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সাবেক স্পিকার মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী’র ৯৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মজয়ন্তীতে তিনি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নয়াদিলি¬স্থ পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। এ সময় দূতাবাসে কর্মরত বাঙালিদের জীবন রক্ষায় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জোরালো আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। তাঁর অসামান্য দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশ স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আমাকে এবং আমার বোন শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম থেকে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। আমাদের চরম দুঃসময়ে তিনি এবং তার সহধর্মিনী মেহজাবিন চৌধুরী পরম মমতায় আমাদের দুই বোনকে আগলে রাখেন। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে হুমায়ুন রশীদ চোধুরী দিল্লি¬তে আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। সে জন্য অকুতোভয় এই কূটনীতিবিদকে খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে পড়তে হয় এবং তিনি বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হন।’
দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্পিকারের দায়িত্ব প্রদান করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,  জাতীয় সংসদকে গতিশীল এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের প্রচলিত রীতিনীতির আধুনিকায়ন এবং সংস্কারে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন ,  স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাঙালির এই কৃতি সন্তানের অবদান জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তাঁর দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শ ছড়িয়ে দিবেন। 
তিনি মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আত্মার চির প্রশান্তি কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat