স্বল্পন্নোত দেশের তালিকা থেকে উত্তোরণের (এলডিসি) ক্ষেত্রে বাণিজ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ সনাক্ত ও মোকাবিলায় ১২টি খাতের ট্রেড রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে অংশীজন পরামর্শ সভা করেছে বাংলাদেশ ফরেণ ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই)। ১২টি খাত হলো তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কৃষি পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, লেদার ও লেদার পণ্য এবং নন- লেদার ফুটওয়্যার, ফার্মাসিউটিক্যাল ও এপিআই, ট্যুরিজম, সফটওয়্যার ও আইটি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ বিএফটিআই সভাকক্ষে সর্বশেষ অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং তার মোকাবিলায় খাতভিত্তিক রোডম্যাপ প্রস্তুতি গ্রহণ’-শীর্ষক গবেষণা পরিচালনার আলোকে বিএফটিআই-এর তিন দফায় পরিচালিত অংশীজন পরামর্শ সভায় ৪টি খাতের ট্রেড রোডম্যাপ প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর আলোচনা করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ড. মো. জাফর উদ্দীন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মাহফুজা আখতার। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব রোকেয়া বেগম এবং সরকারি ও বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন,‘এলডিসি উত্তোরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারিখাতকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রপ্তানি বৃদ্ধি ও এলডিসি উত্তোরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পণ্য বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তোরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেবা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেবাখাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনীতিতে সেবাখাতের অবদান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক চাহিদার বিবেচনায় বাংলাদেশ পর্যটন, সফটওয়্যার, আইটি এবং নার্সিং-মিডওয়াইফারি সেক্টর থেকে সেবা রপ্তানির মাধ্যমে বৈশ্বিক মুদ্রা অর্জন করা যেতে পারে।