ভারতের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে আবারো একটি নতুন ঝড়ের তীব্র হয়ে ওঠার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর আগে, কয়েক দশকের মধ্যে অধিকতর তীব্র ঘূর্ণিঝড় দেশের পশ্চিমে আঘাত হানার ফলে কমপক্ষে ১১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। খবর এএফপি’র।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অঞ্চলে ঘন ঘন ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় তৌকত সোমবার গভীর রাতে ভারতের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানায় এক ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষণে দেশটির ওপর ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত পরিস্থিতি আরো দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছে।
ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট রাজ্যে আছড়ে পড়ার আগে ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার (১১৫ মাইল) বেগে বাতাসসহ ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে প্রায় ২০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
গুজরাটে তীব্র ঝড়ে ঘরের জানালা ভেঙে গেছে, কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহ শূণ্য হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে কমপক্ষে ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে যে, রাজ্যে প্রায় ৮০ জন মারা গেছে, অনেকে বাড়ি বা দেয়াল ভেঙে পড়ায় মারা গেছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, উত্তাল সাগরে একটি জাহাজ ডুবে গেলে সেখান থেকে ৩৭ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।