বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া উপকূলীয় অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধান ও নবায়নযোগ্য জ¦ালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) স্বাক্ষরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ পর্যালোচনা করেছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পায়েনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের পটভূমিতে ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
তারা এই অঞ্চলের সকলের অভিন্ন সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য নৌচলাচলের স্বাধীনতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। পায়েন এই লক্ষ্যে তার দেশের অঙ্গীকার বজায় রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
উভয় পক্ষ উপকূলীয় অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধান এবং নবায়নযোগ্য জ¦ালানি, উভয় ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।
ড. মোমেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ও পণ্য বাড়ানোর উপায় অন্বেষণ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মোমেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের সুবিধার্থে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার পরামর্শ পুনর্ব্যক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য পশম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তারা দিবসটি উপলক্ষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়ের কথাও স্মরণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
রোববার তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন, ২০২২ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথম দিনে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।