ব্রেকিং নিউজ :
নদী রক্ষার বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান ফরিদা আখতারের শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে: জিকে গউছ কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডা’কে সহযোগিতা করতে চায় বিএমসিসিআই ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৩-১২
  • ৭৪০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 করোনাকালে চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) গ্রহণকারির সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। সরকারি ভাতা বা সহায়তা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দেয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। এর ফলে করোনাকালে এমএফএস-এর ওপর চরের মানুষের আস্থা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। চরাঞ্চলে প্রান্তিক মানুষের এমএফএস-এর ব্যবহার বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় পরিচালিত এক মাঠ-জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশে এমএফএস-এর দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ শনিবার ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয় এবং নলেজ অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘এমএফএস-এর ১০ বছর: করোনা-পরবর্তি মাঠ-বাস্তবতা’ বিষয়ক এক সেমিনারে গবেষণার ফলাফলে এই তথ্য উঠে আসে।  
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ. মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত এবং নলেজ অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সাখাওয়াত আলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। 
মাঠ জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সরকারি ভাতা বা সহায়তা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দেয়ার কারণেই চরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের মধ্যে মোবাইল আর্থিক সেবা গ্রহণকারির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর ফলে করোনাকালে এমএফএস-এর ওপর চরের মানুষের আস্থা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। এছাড়াও চরবাসী এমএফএস-এর খুটিনাটি বোঝার জন্য প্রধানত এমএফএস এজেন্টদের ওপর নির্ভরশীল। তবে মহানগর এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এজেন্ট নির্ভরতা ধারাবাহিকভাবে কমছে, কারণ গ্রাহকরা নিজেরাই অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল আর্থিক সেবা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, এক দশক আগে যখন আমরা বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয়, তখন প্রান্তে বসবাসকারি নি¤œ আয়শ্রেণীর মানুষের কাছে সুলভে সহজ ডিজিটাল আর্থিক সেবা পৌঁছানোই প্রধানতম লক্ষ্য ছিল। এই করোনাকালে আমরা দেখেছি যে, মহানগরি থেকে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে সর্বত্রই নি¤œ আয়শ্রেণীর মানুষ এমএফএস-এর সুবিধা ভোগ করেছেন। সে বিবেচনায় বলা যায় যে এমএফএস ‘করোনার পরীক্ষায় পাশ’ করেছে।
অনুষ্ঠানে ড. আহসান এইচ. মনসুর তাঁর বক্তব্যে টাকা পাঠানো এবং উত্তোলনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এমএফএস-এর ব্যবহার উৎসাহিত করার ওপর জোর দেন। তাঁর মতে এমএফএস-এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাওয়া খুবই সম্ভব। এ প্রসঙ্গে ড. আতিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল ন্যানো লোন এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মতো নতুন নতুন উদ্যোগ মোবাইল আর্থিক সেবায় যুক্ত হচ্ছে। এগুলো চরাঞ্চলের মতো প্রান্তিক এলাকাগুলোতে কার্যকরভাবে নিয়ে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার।
খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন, অনেক দরিদ্র মানুষ কেবল সরকারি ভাতার জন্যই এমএফএস একাউন্ট খুলেছিলেন বলে বর্তমান মোট এমএফএস অ্যাকাউন্টের অর্ধেকই অচল। তবে তাঁর মতে এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা উচিৎ এবং কিভাবে এই গ্রাহকদের অন্যান্য লেনদেনেও এমএফএস ব্যবহারে উৎসাহিত করা যায় তা নিয়ে ভাবা উচিৎ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat