সরকার নির্ধারতি মূল্যে খুচরা পর্যায়ে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ভোজ্যতেল মিল মালিকদের (উৎপাদনকারি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেল পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সরবরাহ কাঠামোয় কোথাও কোন সমস্যা নেই এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি নিশ্চিত করা গেছে।’
গত ২০ মার্চ সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৩৬ এবং পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ১৩০ টাকা বেঁধে দেয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশিয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট হ্রাস এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পাশাপাশি নতুন করে তেলের দাম নির্ধারণ করে। রমজান মাসে ভোজ্যতেল সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ভোক্তারা অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে।
সাপ্লাই অর্ডারে (এসও) দাম উল্লেখ করার পাশাপাশি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম করলে উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কিছু মিল মালিকের বিরুদ্ধে আগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আগামীতে কোন ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘মিল মালিকরা চাহিদামত তেল উৎপাদন করার পাশাপাশি সাপ্লাই অর্ডারে দাম উল্লেখ করছে কি না সেটা আমরা মনিটারিং করছি। এসও অনুযায়ী মিল মালিকরা ১৫ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহ করছে কি না সেটাও দেখছি।’এসব বিষয় পরিপালন করার ব্যাপারে উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান সরকারকে আশস্ত করেছে বলে তিনি জানান।
সভায় অংশ নেওয়া উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপ, বসুন্ধরা, সিটি, এস আলম, বাংলাদেশ এডিবল ও মেঘনা গ্রুপের প্রতিনিধিরা জানান, দেশে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত মজুদ আছে এবং সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করছে।