ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-৩১
  • ৩৮৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিলো জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিলো জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলো এই জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’
হাছান মাহমুদ আজ দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে, সেজন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করে নি। গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। এর পরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও বিএনপি দুই দফা ক্ষমতায় ছিলো, কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের বিচার তারা করে নাই।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইদানিং বিএনপি নামসর্বস্ব নানা দল- যে সমস্ত দলের সভাপতি আছে কিন্তু সাধারণ সম্পাদক কে তা কেউ বলতে পারে না, তাদের সাথে বৈঠক করছে। বিষয়টা হাস্যকর। এ সমস্ত সাইনবোর্ডসর্বস্ব দলের সাথে বৈঠক করে সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া আর কি হবে আমি জানি না, কারণ, তাদের শুধু সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।’
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, ‘একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটোসাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করবো, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন, ।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের নানা ঘটনা ও মুহূর্তকে নতুন প্রজন্মসহ আমাদের মাঝে তুলে ধরে জাতির সঠিক ইতিহাস বিকাশে ফটোসাংবাদিকরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উন্নসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ঘটনার দলিলকে ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য রাখেন। আলোকচিত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের একশ’ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির একশ’ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat