দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার আজ প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন গম, প্রায় ৩.৩০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং প্রায় ১.৬০ লাখ মেট্রিক টন সার ক্রয়ের জন্য পৃথক পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিতে আজ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত চলতি বছরের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)’র ২৫তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ভার্চুয়ালি ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানান, আজ মোট ১৫টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে সরকার রাশিয়া থেকে জি টু জি ভিত্তিতে প্রায় ২,০৪২.৫০ কোটি টাকার প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয় করবে, যেখানে প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম হবে ৪৩০ ডলার। আর প্রতি কেজি গমের দাম পড়বে ৪০.৮৫ টাকা।
বারিক বলেন, আরেকটি প্রস্তাব অনুসারে সরকার ভারত থেকে জি টু জি ভিত্তিতে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কিনবে। মোট চালের মধ্যে প্রায় ৭০,০০০ মেট্রিক টন চাল সমুদ্র্র বন্দর দিয়ে আসবে যার দাম প্রতি কেজি ৪২.১৩ টাকা এবং আরও ৩০,০০০ মেট্রিক টন চাল স্থলবন্দর দিয়ে আসবে যার দাম প্রতি কেজি ৪০.৭০ টাকা।
আরেকটি প্রুস্তাব অনুযায়ী, সরকার জি টু জি ভিত্তিতে ভিয়েতনাম থেকে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি থাই চাল এবং আরও ৩০,০০০ মেট্রিক টন আতপ চাল কিনবে।
এছাড়া তিনি জানান, বৈঠকে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য প্রায় ৯৮৩.৮২ কোটি টাকা দিয়ে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে পাঁচ বছরের জন্য সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বিএডিসি দুবাই ভিত্তিক ফ্যালকো জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি থেকে প্রায় ৯৩১.৪৯ কোটি টাকায় প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন এমওপি সার ক্রয় করবে।
এছাড়া দুটি পৃথক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ষষ্ঠ লটের আওতায় প্রায় ১৭৭.৯৮ কোটি টাকায় সৌদি আরবের এসএবিআসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার ক্রয় করবে। ৭ম লটের আওতায় সৌদি আরবের এসএবিআসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানির কাছ থেকে প্রায় ১৭৭.৯৮ কোটি টাকায় আরও ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার কেনা হবে।
এ ছাড়া দিনের সিসিজিপি সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব, স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি প্রস্তাব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।