ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-০৬
  • ৩২৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় রিভিউ’র আবেদন শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করে শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আজ বাসসকে এ কথা জানান নিহত অধ্যাপক তাহেরের কন্যা সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠায় দেয়া রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশংকা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। এডভোকেট সেগুফতা বলেন, ‘আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়েছি। এক আসামি ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছে।’
রায়টি ঘোষণার পর এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।’
ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছে। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।’
অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা হয়।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ দুই আসামির ফাঁসির দন্ড বহাল রাখে এবং অন্য দুই আসামির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat