১৯৭৩ সালে জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ শুরু করে প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩৩৮টি জাপানি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এরমধ্যে ৬৮ শতাংশ কোম্পানি তাদের ব্যবসা আরও বাড়াতে চায়।
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি আন্দো একথা বলেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জেট্রো যৌথভাবে ‘জাপানি বিনিয়োগ আকষর্ণের ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষণীয়’ শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেট্রোর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো ও বাংলাদেশে কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি আন্দো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জ্রেট্রোর প্রধান নির্বাহী পরিচালক তাকাসি সুজকি অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠান জেট্রোর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম বড় অংশীদার জাপান এবং আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জাপানি বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী করে তুলতে ক্রেডিট রেটিং বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক তাকাসি সুজকি ভারতীয় অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে অধিক পরিমাণ জাপানি বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন। তিনি জাপানি বিনিয়োগের মডেল নিয়েও আলোচনা করেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, জেট্রোর মাধ্যমে জাপান ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছে, আর দিন দিন এই বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের বড় অভ্যন্তরীণ বাজার এবং উৎপাদন খরচ কম; সেটাই বিনিয়োগের প্রধান কারণ। তিনি বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে, দ্রুত তার সমাধান করতে হবে।’ জাপানি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পণ্য খালাসসহ অন্যান্য সেবা আরও সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এসময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন তার বক্তব্যে বলেন, জাপানি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে আমরা একশ’টির মত ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছি, যেখানে বিনিয়োগ উপযোগী সবধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।