ব্রেকিং নিউজ :
নদী রক্ষার বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান ফরিদা আখতারের শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে: জিকে গউছ কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডা’কে সহযোগিতা করতে চায় বিএমসিসিআই ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-১৯
  • ৩৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রাহকের আমনতের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড’র চেয়ারম্যান খন্দকার রওশন আলী ওরফে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার হয়েছেন।
গ্রেফতাকৃত চেয়ারম্যান আজাদ টাকা আত্মসাতকারি চক্রের মূলহোতা। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামে। র‌্যাব-৩ এর একটি দল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে আজাদকে গ্রেফতার করে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আজ বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইনও গণমাধ্যম শাখার মূখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
র‌্যাব জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা আজাদ এবং তার সহযোগিরা সাধারন মানুষের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়। সমিতির মাঠ পর্যায়ে গ্রাহক ও অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রায় আটশতাধিক কর্মী নিয়োজিত ছিল। তাদেরকে কোন বেতন ভাতা দেয়া হতো না।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, এই ঘটনায় ভূক্তভোগীরা দেশের মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার সাধারন পেশাজীবী মানুষ এই প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ে অতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রাপ্তির আশায় লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। বেশির ভাগ মানুষ তাদের সারাজীবনের কষ্টার্জিত জমানো অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ “জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি” নামে প্রতিষ্ঠানটি চালু করে। এভাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যায়। ২০১৩ সাল হতে কুষ্টিয়া, খুলনা, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় এ প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বৃহদাকারে “জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের মূলহোতা আজাদ বলেছে, সে ২০০৫ সালে মেহেরপুর জেলা শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস মোড়ে আওয়াল হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৭ সালে এ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা ৭ থেকে ৮ হাজার হয় এবং গ্রাহকরা উচ্চু সুদে ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত জমা রাখে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালে তার দেয়া হিসাব মতে তার কাছে রক্ষিত গ্রাহকদের সঞ্চয়-আমানতের পরিমান দাড়ায় প্রায় ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সে তার আঞ্চলিক সকল অফিস গুটিয়ে এবং সকল ফোন নম্বর একযোগে বন্ধ করে দিয়ে রাজধানীর উত্তরায় এসে গা ঢাকা দেয়।
তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া, খুলনা, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় চেক জালিয়াতি ও প্রতারনাসহ ৬০টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৬ টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের র‌্যাবের মূখপাত্র বলেন, প্রতারক আজাদ তার নিজ জেলা কুষ্টিয়াতে ১৫ বিঘা জমি, একটি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন, একটি ইটের ভাটা এবং রাজশাহীতে ১১ বিঘা জমি ক্রয় করে। এছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে সে ঢাকার উত্তরায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ি ক্রয় করে। তার স্ত্রীর নামে পোষ্ট অফিসে ২০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকে তার একাউন্ট রয়েছে এবং একটি প্রাইভেট ব্যাংকে তার ২ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়াও নামে বেনামে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে প্রচুর সম্পদ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat