ব্রেকিং নিউজ :
লালমনিরহাটে মাদকবিরোধী কর্মশালা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত ২ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে : পরিবেশমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন গণপূর্ত মন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মভিটা সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় করা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ ও দক্ষকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার আর অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-০৬
  • ৩৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানিয়েছেন, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭২-এ ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড দেয়ার বিধানও রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের  জনগুরুত্বপূর্ণ বিধি ৭১ এ আনীত এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হয় এবং প্রায় ৬৩টি দেশে তা রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে, ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসনের অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে কেউ নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতে না পারে। ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হবে তো বটেই। শুধু তাই নয়, তার কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে, নানাধরনের সমস্যা দেখা দেবে। এসব প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ওষুধ ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ‘দি ড্রাগস অ্যাক্ট-১৯৪৮, ড্রাগস অর্ডিনেন্স-১৯৫৮ রোহিতকল্পে ওষুধ আইন-২০২২ এ একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ আইনে যে ধারাগুলো রয়েছে- যারা লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করবে তাদের ১০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা। লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেটে বা যেকোনোভাবে ওষুধ বিক্রি করে তার জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা আছে। আর যদি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি করে তার জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। 
মন্ত্রী জানান, ওষুধ প্রশাসন দ্বারা ড্রাগ আদালতে ১০১টি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০০টি, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় আট হাজার মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা, কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ২০০ জনকে। ওষুধ জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার।
জাহিদ মালেক বলেন, ওষুধ প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য জনবল কাঠামো বাড়িয়ে ৩০০ থেকে ১ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ড্রাগ পরিদর্শক আছেন, তারা এগুলো সবসময় পর্যবেক্ষণ করছেন। ফার্মেসিগুলো ভিজিট করছেন। ওষুধের মাননিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি শহরে ল্যাব রয়েছে। সেখানে বাজার থেকে ওষুধ এনে পরীক্ষা করা হয়। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ বাদে অন্য ওষুধ (যেমন- হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ও ইউনানি) সব ওষুধ পরীক্ষা ও মান নির্নয় করা হয়। এ বিষয়ে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে আড়াই লাখ মামলা ও ১৩৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ভেজাল ওষুধ তৈরির জন্য ২০টি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। তবে ভোজাল ওষুধ তৈরি, বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, ভেজাল ওষুধ আমদানি করা না হয় তার জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat