ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-১৫
  • ৫১১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে চারটি সংস্থাকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেআইনিভাবে দুবাইয়ে মানিলন্ডারিং করে বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনো সম্পদ গড়েছেন- তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে গড়া এসব বাড়ি ও অন্য সম্পদে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন আদালত।
‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে ১০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
 রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এবং দুদকের পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এছাড়াও আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে বিদেশি ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ও কোম্পানির জমা রাখা পাচারের অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুবীর নন্দী দাসসহ সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ওই রিটের ধারাবাহিকতায় দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের সম্পত্তি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সিএডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রোপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি জমি-বাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat