ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-১৬
  • ৩৮৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করায় বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ১ বছর তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাগারা ভোগের সময়কে সাজা হিসেবে রায় ঘোষণা করেন। এ হিসাবে তার ১ বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাভোগ সাজা হয়।
এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন অভিযোগ গঠনের সময় বিচারক তাকে দোষী না নির্দোষ তা জানতে চান। কাজী ইব্রাহীম এসময় নিজেকে দোষী দাবী করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। গত ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ হিসাবে আজ পর্যন্ত (১৬ জানুয়ারি) তার ১ বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাদন্ড হয়।
ট্রাইবব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদন্ড। যেহেতু তিনি দোষ স্বীকার করেছেন, সেহেতু বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগটাই সাজা হিসাবে দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুতবা দানের সময় মিথ্যা, উস্কানিমূলক ও ভীতিপ্রদর্শক সম্বলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। প্রচারিত ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উস্কানিমূলক ভিডিওগুলোতে প্রচারিত বক্তব্য তার নিজের বলে স্বীকার করেন। তিনি ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বিভিন্ন ভিডিও প্রচার ও প্রকাশ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করতে গেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে, হিন্দুস্থানি দালাল ও র-এর এজেন্ট তার বাসা ঘিরে রেখেছে- বলে মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন উগ্রবাদী বক্তব্য, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান বাদি হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে একই বছরের ২ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানে হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat