• প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১৬
  • ৫৯২৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর এয়ারলাইন্সগুলোকে ‘ফিফ্থ ফ্রিডম’ সুবিধা দেবে না।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এভিয়েশন নিয়ে দু’দিনের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়। আজ বেবিচক সদর দফতরে এটি শেষ হয়।
‘ফিফ্থ ফ্রিডম’ সুবিধা একটি এয়ারলাইনসকে তার নিজের দেশ থেকে দ্বিতীয় দেশে এবং সেই দেশ থেকে তৃতীয় দেশে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার অধিকার দেয়।
উভয় পক্ষের আলোচনায় ইউএই-এর এয়ারলাইন্সসমূহ বাংলাদেশে তাদের বিমান চলাচল বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রুটে ফিফ্থ ফ্রিডম অধিকার পাওয়ার জন্য প্রস্তাব করে।
বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩য় টার্মিনালের কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে না, বিধায় বর্তমানে যে হারে ফ্লাইট চলমান আছে তা সেই পর্যায়ের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
ভবিষ্যতে বিমানবন্দরসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি সাপেক্ষে বর্ধিত কলেবরে বিমান উড্ডয়নের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হবে। তবে, ফিফ্থ ফ্রিডম অধিকারটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না মর্মে বেবিচক-এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ স্টেটের মধ্যে বিমানবন্দরের সক্ষমতা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (জিসিএএ) মহাপরিচালক সাইফ মোহাম্মদ আল সুওয়াইদি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশের বিমান শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ করে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত ও পরামর্শমূলক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি দলে দুবাই, শারজাহ, রাস আল-খাইমাহ এবং ফুজাইরার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিএএবি এবং বিভিন্ন স্থানীয় বিমান সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat