ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-১০
  • ৫৬৭০১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস আগামীকাল ১১ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে কুষ্টিয়া জেলার মুক্তি সেনারা সংগ্রাম করে পাকিস্তানী বাহিনীর হাত থেকে কুষ্টিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। ১৬ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে সেদিন কুষ্টিয়া শত্র“ মুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার কুষ্টিয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেদিন সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াও মুক্তিকামী মানুষ রক্ত দিয়েছিল হাসতে হাসতে। অত্যাধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হানাদার পাকসেনার বিরুদ্ধে সাহসী বাঙ্গালী তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা অমিত তেজে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে কুষ্টিয়ার পবিত্র মাটি  পাকিস্তানী হানাদারদের  হটিয়ে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের গগণবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগোনে সেদিন কুষ্টিয়ার আকাশ-বাতাস মুখোরিত হয়ে উঠেছিল। লাঠি-সড়কি, ঢাল- তলোয়ার নিয়ে হরিপুর-বারখাদা, জুগিয়া, আলামপুর, দহকোলা, জিয়ারুখী, কয়া, সুলতানপুর, পোড়াদহ, বাড়াদিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ছুটে এসেছিল কুষ্টিয়া শহরে।
দীর্ঘ ১৭ দিন মুক্ত থাকার পর কুষ্টিয়া পুনরায় শত্রুদের হাতে চলে যায়। এর পর পাকিস্তানী সেনারা শহরে প্রবেশ করেই অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা এবং ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে যায়। সে সময় শহরেও লোকসংখ্যা খুবই কম ছিল। যারা ছিল তাদেও মধ্যে অনেকেই  পাকিস্তানী সেনাদের হাতে নিহত হন। এর পর ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড়ে ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক বাহিনীর যুদ্ধ শেষে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত হয়েছিল। সেদিনের ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডঃ আখতারুজ্জামান মাসুম জানান, সেদিন দেশ স্বাধীন করেছিলাম সকল মানুষের মুক্তির জন্য। আজ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি এবং দেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জঙ্গিবাদ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ যুদ্ধের পর একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশ দেখার স্বপ্ন ছিল আমাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat