ব্রেকিং নিউজ :
সাতক্ষীরায় রাসায়নিকে পাকানো চারশ’ কেজি আম জব্দ আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস দিনাজপুরে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইসতিকার নামাজ আদায় ময়মনসিংহের আলালপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুইজন নিহত সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-১১
  • ৪৫৩৩৬৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
লাকসাম মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বরেই প্রাণ দিয়ে লড়াই করে কুমিল্লা জেলার বৃহত্তর লাকসাম অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করেছিলেন ৭১ এর রণাঙ্গনের বীর সেনারা। আজ সোমবার সেই ঐতিহাসিক দিন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের স্মৃতি লাকসামের বেলতলী বধ্যভূমি। ৭১’র যুদ্ধকালীন সময়ে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণে বেলতলীতে কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দিয়েছিল পাকিস্তানী হানাার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী লাকসাম রেলওয়ে জংশন থ্রি-এ সিগারেট ফ্যাক্টরিতে ঘাঁটি করে। এ ঘাঁটিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্বিচারে হত্যা করে এর ৫’শ গজ দূরে বেলতলী বধ্যভূমিতে মাটি চাপা দিতো হানাদার বাহিনী।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে এদিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী লাকসাম থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিলো। এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে  উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী সংগঠন নানাহ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে যুদ্ধকালীন কমান্ডাররা স্মৃতিচারণ করবেন বলেও জানা যায়।
বতর্মানে কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলা নিয়ে ছিলো বৃহত্তর লাকসামের ভৌগলিক অবস্থান। ১৯৭১ এর এ দিনে লাকসাম হাইস্কুল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ভূঁইয়া সর্ব প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।
লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারী মজুমদার  জানান, যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সন্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু লোক নিহত হয়। এদের মধ্যে মোস্তফা কামাল ও সোলায়মান নামে দুই ভাই, মিশ্রির আবদুল খালেক, কামড্ডা গ্রামের আবুল খায়েরের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারছেনা তারা। তিনি আরো জানান, পালানোর সময় মিত্র বাহিনী লাকসামের চুনাতী গ্রামে এবং মুক্তিবাহিনী শ্রীয়াং ও বাংলাইশ গ্রামে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে মুখোমুখি আক্রমণ করে। এ সকল আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনীর অসংখ্য প্রাণহাণীসহ অনেক হানাদার বন্দী হয়। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ভোরে যৌথবাহিনী বৃহত্তর লাকসামকে শত্রুমুক্ত বলে ঘোষণা করেন।
ওই ক্যাম্প থেকেই চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতো তারা। ৮ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর বিভিন্ন কমান্ড লাকসামে অবস্থানরত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে মিত্রবাহিনী লাকসাম জংশন ও সিগারেট ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন অবস্থানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে। দুই দিন ধরে প্রচন্ড যুদ্ধের পর পাক বাহিনী লাকসাম থেকে পশ্চিম দিকে মুদাফফরগঞ্জ হয়ে চাঁদপুরের দিকে পালিয়ে যায়। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ভোরে যৌথবাহিনী বৃহত্তর লাকসামকে শত্রুমুক্ত বলে ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat