নরসিংদীর ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বেরিয়ে এসে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ৫ তরুণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:-
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা নরসিংদীর গাবতলীর বাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ তরুণ বেরিয়ে এসে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।র্যাবের মিডিয়া উইয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের আহ্বানে আত্মসর্পণে রাজি হওয়া ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে ওই বাড়ির ভেতরে থাকা একজন ছাত্র আবু জাফর মিয়া শনিবার রাতে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের বাঁচান। আমরা নিরপরাধ। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। প্লিজ, আমাদের বাঁচান। আমরা সাধারণ ছাত্র। প্লিজ, আমাদের উদ্ধার করুন। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ।’রোববার সকালে অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও র্যাবের আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় তা বন্ধ রাখা হয়। নিজেদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার শর্তে ওই বাড়ির ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা আত্মসমর্পণ করবে বলে র্যাবকে জানায়।বাড়িটির ভেতরে জেএমবি’র ৫ থেকে ৬ জন সক্রিয় সদস্য অবস্থান করছে বলে ধারণা র্যাবের। বাড়িটির আশেপাশের এলাকায় ১শ’ ৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর একটি দল গোপন তথ্যর ভিত্তিতে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে।মুফতি মাহমুদ খান জানান, সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানের পর জঙ্গিরা ঢাকার আশেপাশের জেলায় অবস্থান নিয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতেই গত কয়েক দিন থেকে নরসিংদীতে অভিযানে নামেন তারা।শনিবারও চলে তাদের অভিযান। নরসিংদীর উত্তর গাবতলী এলাকার দুবাই প্রবাসী মইনউদ্দিনের ওই বাড়িটিতে মাদ্রাসা ছাত্র পরিচয়ে বসবাস করা ৫-৬ জনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়িটি ঘেরাও করা হয়। এরপর বাড়ির মালিকের ছোট ভাই জাকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।সালাউদ্দিন নামের একজন মাদ্রাসা ছাত্র পরিচয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাড়িটি ভাড়া নেয়। এরপর সে আরো ৪-৫ জন নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস শুরু করে বলেও জানায় র্যাব।র্যাবের ধারণা, বাড়িটিতে অবস্থান করা ৫ থেকে ৬ জন জেএসবি’র সক্রিয় সদস্য এবং তারা সিলেটের আতিয়া মহল থেকে পালিয়ে আসা জঙ্গি।