বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্রিটেনের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশটিতে করোনা ভাইরাস তীব্র সংক্রামক রূপ নেয়ায় রোববার এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে ব্রিটেন। ব্রিটেন করোনার এ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে, করোনা নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে, সুখবর মিলছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটিতে করোনা পীড়িত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আইনপ্রণেতারা রোববার প্রায় ৯০ হাজার কোটি ডলার প্রণোদনা প্যাকেজের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। এখন শিগগিরই কংগ্রেস বিলটি পাশ করবে।
ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুম্বার যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিদিনের ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রেক্ষিতে নষ্ট করার মতো সময় নেই। ইউরোপ ছাড়াও আমেরিকা অঞ্চলের যেসব দেশ ইতোমধ্যে ব্রিটেনের সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে তার মধ্যে কানাডা, চিলি ও আর্জেন্টিনাও রয়েছে।
জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশই ব্রিটেনের সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করতে যাচ্ছে। এছাড়া সমুদ্র, সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন ভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে উল্লেখ করেছেন। ক্রিসমাসের এ সময়ে তিনি দেশের আরো অনেক এলাকায় লকডাউন জারির ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্রিটেনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন। এ প্রেক্ষিতে দ্রুত টিকা দেয়া শুরু করা ছাড়া ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকানোর আর কোন উপায় নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ক্রিসমাসের পরপরই ইউরোপ ব্যাপকভাবে টিকা দেয়ার কাজ শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে ইতোমধ্যে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। রাশিয়া ও চীনও তাদের নিজস্ব উৎপাদিত টিকা দেয়ার কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউরোপজুড়ে তীব্রভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা পদক্ষেপ দ্বিগুণ করতে হবে।