আফগানিস্তানের কুন্দুজ নগরীতে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে শুক্রবারের আত্মঘাতি বোমা হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে।
আগস্টে দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তাক্ত হামলা। এতে আহত হয়েছে বেশ কিছু লোক। ইসলামিক স্টেট গ্রুপ আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তালেবানের মতোই আইএস একটি সুন্নী গ্রুপ। কিন্তু উভয় গ্রুপ পরষ্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আইএস আফগানিস্তানে একাধিকবার ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে। কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে ২০১৭ সালের অক্টোবরে আইএসের আত্মঘাতি হামলায় ৫৬ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের মে মাসে রাজধানীর একটি স্কুলের সামনে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৮৫ জনকে হত্যা করেছে এবং আহত হয়েছে ৩শ’রও বেশি।
তালেবানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর নিরাপত্তা প্রধান মৌলভী দোস্ত মোহাম্মদ বলছেন, মসজিদে হামলাকারীরা শিয়া ও সুন্নী সমস্যাকে তীব্রতর করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিয়া ভাইদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা বিধান এবং এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটার ব্যাপারে আশ^াস দিচ্ছি।
উল্লেখ্য শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় এ হামলা চালানো হয়। এ সময়ে মসজিদে তিন’শ থেকে চার’শ মুসুল্লি ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন বলে গুতেরেসের মুখপাত্র উল্লেখ করেন।