• প্রকাশিত : ২০২১-১২-১৪
  • ৬০২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন ফোরাম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় প্রানী সম্পদ অফিসের হল রুমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লাপাড়া শাখার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ফোরামের সভাপতি মোঃ আবু সাইদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কো-অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুল মাজেদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাকারিয়া হোসেন ফিল্ড অগ্রানাইজেশন ব্র্যাক ফাইন্ডেশন উল্লাপাড়া, মোঃ আব্দুল মালেক সাধারন সম্পাদক ব্র্যাক মাইগ্রেশন ফোরাম উল্লাপাড়া ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন ফোরাম উল্লাপাড়া শাখার সকল সদস্য।
জেলা কো-অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুল মাজেদ তার বক্তব্যে তিনি বলেন- ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফজলে হাসান যুক্তরাজ্য থেকে চাদা সংগ্রহ করে তহবিল গঠনের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের ত্রান ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। তখন ব্র্যাকের লক্ষ ছিল দেশের জনগনের দুরদিনে সাময়িকভাবে কাজ করে উদ্বুত পরিস্থিতি নিরসন করা। দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করার উদ্যেশ্যে BRAC (Bangladesh Relief And Rehabilitation Assistance Committee ) নামে একটি কমিটি গঠন করে বৃহত্তর সিলেট জেলার শাল্লা, দিরাই ও বানিয়াচং এই তিনটি উপজেলায় ত্রান ও পুনর্বাসন কাজ শুরু করা হয়। ব্র্যাক ১৯৭২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট নয় মাস ধরে ত্রান ও পুনর্বানের কাজ করে।

বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরো (bmaet)’র তর্থ অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটির বেশী বাংলাদেশী কাজের জন্য বিদেশ গিয়েছেন। এর মধ্যে ৮১ শতাংশই গেছেন মধ্য প্রাচ্যে । শীর্ষ ১০ অভিবাসী কর্মী পাঠানো এবং প্রবাসী আয় সংগ্রহ কারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিগত ১০ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে বিভিন্ন দেশে পারি জমিয়েছেন। শুধু ২০১৭ সালেই বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার নারী। অভিবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী খাত। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান প্রায় ১০ ভাগ। অভিবাসন খাত থেকে লাভবান হলেও প্রাবাসিদের দূর্ভাগ্যের শেষ নেই। বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন খরচ পৃখিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী। মধ্যস্বত্বভোগী এবং দালালের দৌরাত্বের পাশাপাশি তথ্যের অপর্যাপ্ততা ও সুশাসনের অভাব অভিবাসন খাতের অন্যতম বাধা। অভিবাসনের ক্ষেত্রে সুশাসন, মানসম্মত ও মর্যাদাপূর্ন শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত কারার লক্ষে ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসুচি ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসনপ্রবন জেলাগুলোতে কাজ শুরু করে। বিদেশগামী নারী পুরুষদেরকে সঠিক তথ্য প্রদান কারার মাধ্যমে নিরাপদে অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা, বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অ্যাডভোকেসি ও নানাবিদ সহযোগিতা মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচী। বর্তমানে মাইগ্রেশন কর্মসূচী সারাদেশের অভিবাসন প্রত্যাশি ও ফেরত অভিবাসিদের পুনরেকত্রীকরনের কাজ করছে। প্রকল্পগুলোতে ৬৪টি জেলার মানুষই সুবিধা পাবে তবে কাজের সুবিধার্থে দেশের ১৫টি অঞ্চলের সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই ১৫ টি সেন্টারগুলো হলো- কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ঢাকা, নরসিংদি, সিলেট, খুলনা, শরিয়তপুর, চাদপুর, কিশোরগঞ্জ ও যশোর জেলা।

সোশিও ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স অফ বাংলাদেশ প্রোজেক্ট ফেইজ-২ ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নেঃ মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশ হতে ফেরত অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের চাহিদা যাচাইয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ , প্রশিক্ষন ও রেফারাল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে । বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী রেমিটেন্স আয় হয় চট্টগ্রাম জেলা থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat