আফগানিস্তানের তীব্র অর্থনৈতিক সংকট এই অঞ্চলে চরমপন্থার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়ার হুমকি তৈরি করছে। জাতিসংঘের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বুধবার সতর্ক করে এ কথা বলেন।
চলতি বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর বিদেশী সাহায্য বন্ধ রয়েছে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি মানবিক বিপর্যয়ের একেবারে কিনারে রয়েছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘ দূত দেবোরাহ লিয়ন্স নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, স্থানীয় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ায় অবৈধ মাদক, অস্ত্র প্রবাহ এবং মানব পাচার বেড়ে যেতে পারে। জাতিসংঘ হুঁশিয়ার করে বলেছে, চলতি শীত মৌসুমে আফগানিস্তানের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ অর্থাৎ দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা খাদ্য সংকটে পড়বে। লিয়ন্স বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তবতা চরম পন্থার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলার হুমকি তৈরি করেছে। তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, ব্যাকিং খাতের চলমান অচলাবস্থার কারণে অনিয়ন্ত্রিত অনানুষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেন বেড়ে যাবে। এর ফলে সন্ত্রাস, মানব ও মাদক পাচারও বেড়ে যাবে। এতে প্রথমে আফগানিস্তান পরে পুরো অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জব্দ করা অর্থ ছাড়ের জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি তালেবানের আহ্বানের পর পরই লিয়ন্স এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ জব্দ করেছে। এ কারণে সাহায্য নির্ভর আফগান অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।