ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সংঘাতের একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ের আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে বৈঠক করেছেন।
আব্বাসের কার্যালয় জানিয়েছে, ৮৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সাথে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন আমেরিকান কর্মকর্তার সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আব্বাস এ ব্যাপারে মার্কিন পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে একতরফা ইসরায়েলি অনুশীলন বলে বর্ণনা করেছেন যা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুন্ন করছে। ইসরাইলী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতির সম্প্রসারণ এবং ইসরায়েল-অধিভুক্ত পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন অংশ থেকে ফিলিস্তিনীদের উচ্ছেদ।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে বিশেষত ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের "অবিভক্ত রাজধানী" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যেকার সম্পর্ক কার্যত ভেঙে পড়ে।
গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আব্বাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছে। ফিলিস্তিনি জনমত জরিপে দেখা গেছে, আব্বাস এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি জনসমর্থন সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। বিশেষ করে বার্ধক্যে উপনীত প্রেসিডেন্ট আব্বাস গত বছর নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা বাতিল করার পর জনসমর্থন হ্রাস পায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
পেলোসি ডেমোক্রেটিক পার্টির আটজন আইন প্রণেতার একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সহ শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলী কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন।
বেনেট ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য পেলোসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
স্পিকারের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় পেলোসি এবং মার্কিন প্রতিনিধি দল ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।