বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক সম্মেলন ও অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হবে।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোটার্স কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এ সময় কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. গোলাম শাহী আলম, প্রফসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, প্রফেসর ড. এস এম কবির ও প্রফেসর ড. এ কে এম মনিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপুমনি এমপি প্রধান অতিথি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, সম্মেলনে ‘উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস অধ্যাপক ড. টিম জে পারকিনস।
ড. মেসবাহউদ্দিন বলেন, উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭’ গৃহীত হয়। ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তিনি বলেন, এই আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন সদস্য এবং ৮ জন খন্ডকালীন সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সচিব, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও অন্যান্য পদে আরও ২৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
মেজবাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটদের সুসংহত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে পরিচালিত একাডেমিক প্রোগ্রাম এবং এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে অংশীজনদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং উচ্চ শিক্ষায় গুণগতমান নিশ্চিত করতে অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে কাউন্সিল আয়োজিত মোট ১১৯টি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫ হাজার ৪৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইনের লক্ষ্য পূরণের জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত বিধিমালা, সাধারণ নীতিমালা, স্বার্থগত দ্বন্দ্ব ও গোপনীয়তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা, অ্যাক্রেডিটেশন মানদন্ড ও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
মেসবাহউদ্দিন বলেন, উন্নত দেশের আলোকে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় উপযুক্ত অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরিখে এ সকল বিধি ব্যবস্থা পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ৩০ জন কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (কিউএ) প্রফেশনালস নির্বাচন করেছে। প্রফেশনাল ব্যক্তিরা অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি ও কাউন্সিলের অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে দেশের উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।