রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে অন্তত আগামী এক বছর জ্বালানির উপর ভর্তুকি না কমানোর আহবান জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে নেওয়ার্কিং মধ্যাহ্নভোজ সভায় এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ প্রদানের শর্ত হিসেবে ভর্তুকি কমানোর কথা বলেছে। তবে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ভর্তুকি অন্তত এক বছরের জন্য থাকা দরকার। এটি যেন কমানো না হয়।’ একই সঙ্গে তিনি আমদানিকৃত জ্বালানির মূল্যের সমান স্থানীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে বাড়তি মূল্য না রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আইএমএফ এর নিকট থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ পাচ্ছে। তবে এই ঋণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমিয়ে আনার শর্ত রয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জ্বালানি খাতে সরকারের ১৭ হাজার কোটি টাকা এবং বিশেষত এলএনজি আমদানিতে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এদিকে যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারনে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ খাতে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি এবং জ্বালানি তেল আমদানিতে ১৯ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার জন্য চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে।
এমসিসিআই মনে করে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তোরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বাড়তি ৯ থেকে ১৭ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি বলেন, রপ্তানিতে পণ্য ও বাজার উভয়ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো গেলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ। যার ফলে এলডিসি উত্তোরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, ঋণপত্র (এলসি) খুলতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখনও দ্রুত এলসি খুলছে না। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বেশি ব্যবসাবান্ধব হওয়ার প্রয়োজন।