ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-০৬
  • ৪১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। তৎপরতা বেড়েছে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মৎস্য শিকারীদের। এ সময় মাছ ধরতে বাঁশ-বেত দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা কারিগরদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কয়েকটি মাছ ধরার ফাঁদের নাম হলো হল চাঁই, টইয়া ও পলো, ঘুনি ইত্যাদি। বর্ষার শুরুতেই এসব উপকরণের বাড়ছে কদর।
মাছ শিকারের জন্য বছরের দুটি সময় এসব উপকরণের বিক্রি বেড়ে যায়। যখন খালে-বিলে পানি কমে যায় তখন বাঁশের তৈরি এসব উপকরণ ব্যবহার করে শিকারীরা। আবার যখন বর্ষা শুরু তখনো বিক্রি বাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁই হচ্ছে আড়াই-তিন ফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ এবং টইয়া চ্যাপ্টা আকৃতির। মাছ ধরার ক্ষেত্রে চাঁই ও টইয়ার ব্যবহার প্রায় একই রকম। উঁচু জমি থেকে পানি যখন সাধারণত নিচু জমিতে পড়ে তখন শিকারীরা বাঁধ দিয়ে ছোট একটা জায়গা করে চাঁই বা টইয়া দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে ও টইয়ার উপর দিয়ে পানি যায়। এতে করে ছোট-বড় সকল প্রকার মাছ চাঁই বা টইয়াতে আটকে যায়। জায়গা এবং পানির প্রকারভেদে চাঁই ও টইয়ার সাইজ ও বিভিন্ন আকৃতির ব্যবহার করতে হয়। আর পলো হচ্ছে আড়াই-তিনফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ। কম পানির জায়গায় পানির উপর থেকে পলো ফেলে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মাছ ধরা হয়। সাধারণত রাতেরবেলায় এর ব্যবহার বেশি।
এক সময় বিভিন্ন স্থানে চাঁই, টইয়া ও পলো দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন ছিল বেশি। মাছ ধরার এসব বিশেষ ফাঁদ চাঁই, টইয়া ও পলো তৈরি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। টইয়া ও পলো আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এক একটি চাঁই ২৫০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
চৌগাছা বাজারে মাছ ধরার যন্ত্র কিনতে আসেন পেটভরা গ্রামের আব্দুল আলীম, আন্দুলিয়া গ্রামের শহিদুল, হাজরা খানা গ্রামের মুন্নাফ, মহেশপুর উপজেলার জাগুশা গ্রামের বাদল মন্ডল। তারা বলেন, বর্ষার নতুন পানিতে দেখা মিলছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। তারা জানান, মাছ ধরা তাদের নেশা । তাই মাছ ধরার জন্য ঘুনি-চারই কিনতে এসেছি। তবে অন্য বারের তুলনায় এ বছর দাম অনেক বেশী।
উপজেলার নায়ড়া গ্রামের আব্দুল মালেক প্রায় ২০ বছর যাবৎ মাছ শিকারের সরঞ্জাম বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বাঁশের তৈরি মাছ শিকারের সরঞ্জাম আগের মতো বিক্রি হয়না। তবে বর্ষাকাল আসলে কিছুটা বিক্রি হয়। মাছ শিকারের যন্ত্র তৈরির উপকরণ বাঁশের দাম বেশি। বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তৈরি মজুরিও বেশি পড়ছে। যে কারণে মাছ শিকার সরঞ্জমের দামও একটু বেশি। তাছাড়া এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat