ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৬-২১
  • ৪৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মাহে রমজানে চর্চিত সেসব শিক্ষা বাকি ১১ মাস জারি রাখতে পারে
রাশেদুল ইসলাম :- মাহে রমজান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এক বিশেষ উপহার। রমজান মুমিন জীবনে তাকওয়া, একাগ্র চিত্তে অধিক ইবাদত, ত্যাগ, সংযম, ধৈর্য্য, দান-সাদকা, সাহায্য-সহমর্মিতা, পরিশিলীত জীবনাচরণ, আদর্শ চরিত্র গঠন, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মৌলিক গুণের শিক্ষা দেয়। রমজানে মানব জীবনের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ফেরেশতাসুলভ স্বভাবের সমন্বয় ঘটে। রোজাদার রমজানের ইবাদত বন্দেগির মধ্য সকল অন্যায়-অত্যাচার, অশ্লীলতা-অনাচার, বেহায়াপনা-ব্যাভিচার, মিথ্যাচার-পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কর্মকান্ড থেকে বিরত হয়ে সংযম সাধনার পথ ধরে আল্লাহ পাকের কাছে আত্মসমর্পনের শিক্ষা পায়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ক্ষুধা-পিপাসা সহ্য করে ইফতার, দীর্ঘ সময় নিয়ে তারাবীহ, তাহাজ্জুদ ইত্যাদির ভেতর দিয়ে রোজাদার মাহে রমজানে প্রশিক্ষিত হতে থাকে। মুমিন বান্দা যদি মাহে রমজানে চর্চিত সেসব শিক্ষা বাকি ১১ মাস জারি রাখতে পারে, তবে তার ইহকালীন ও পরকালীন জীবন হবে সফল। মাহে রমজানের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া বা খোদাভীতির শিক্ষা। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। তাকওয়া অর্জন সম্ভবত তোমরা করতে পারো। (সূরা বাকারা: ১৮৩) কোরআনে পাকের এ আয়াত স্পষ্ট করে দিয়েছে, রোজাদার যদি তার আদায়কৃত রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনে সফল না হয়, তবে রোজার এ কষ্ট-ক্লেশ ব্যর্থ। রাসূল সা. বলেছেন, এমন অনেক রোজাদার আছে, যার রোজা কেবল ক্ষুধার্ত থাকার নামান্তর। আর এমন অনেক রাত জেগে ইবাদতকারী আছে, যাদের ইবাদত কেবল রাত জাগার নামান্তর।’ (মুসনাদে আহমদ: ৯৬৮৩) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকল প্রকার নাফরমানী থেকে দূরে থাকার নাম তাকওয়া। আল্লাহর কাছে বান্দার মান-মর্যাদার পরিমাপক হচ্ছে তাকওয়া। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে ব্যক্তি যে মুত্তাকী তথা তাকওয়াবান। (সূরা হুজুরাত: ১৩) রোজাদার একমাত্র আল্লাহভীতি বা তাকওয়ার ভিত্তিতেই রোজা পালন করে। লোক দেখানোর জন্য বা কারও কাছে থেকে বাহবা হাসিলের জন্য নয়। রমজানে সে দিনের বেলা দরজা বন্ধ করে পানাহার করে না। কারণ সে জানে সকলের অলক্ষ্যে সে যা–ই করুক না কেন, আর কেউ না দেখলেও মহান আল্লাহ পাক দেখছেন। তার অন্তরের এ অনুভূতিই তো তাকওয়া। মাহে রমজানের এ শিক্ষাকে আমাদের সারা বছর জারি রাখতে হবে। যে আল্লাহ পাকের ভয়ে আমরা রমজানের দিনের বেলা পানাহারসহ অন্যান্য অনেক কাজ থেকে বেঁচে থাকি, আমাদের মনে রাখতে হবে, সেই আল্লাহ পাকের পরিবেষ্টনের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। যেখানেই অন্যায় করি না কেন, আল্লাহ অবশ্যই দেখছেন। পৃথিবীর সকলকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও তাঁকে ফাঁকি দেওয়া অসম্ভব। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, লেনদেন সকল ক্ষেত্রে এ অনুভূতি জাগ্রত না হলে রমজানের রোজা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। মাহে রমজানে মুমিন বান্দা অধিক ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। ফরজ রোজার পাশাপাশি তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, দুআ-দরূদ, তাসবীহ-তাহলীল, দান-সাদকা, তেলাওয়াত, তাওবা-ইস্তেগফার ইত্যাদি ইবাদতের আধিক্য দেখা যায় এ মাসে। এজন্য এ মাসকে ইবাদতের মৌসুমও বলা হয়। রমজান পরবর্তী বাকি মাসগুলোতে এ রকম অধিক ইবাদতের চর্চা অব্যাহত রাখা জরুরি। সাওয়ালের ৬টি রোজা, প্রতি মাসে আইয়ামে বিজের রোজাসহ নফল রোজার প্রাকটিস জারি রাখা ঈমানে দাবি। পাশাপাশি নফল নামাজ, তেলাওয়াতে কোরআন, তাওবা-ইস্তেগফারসহ যাবতীয় কল্যাণকর আমল রমজান পরবর্তী ১১ মাসে চালু রাখতে পারলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ সুন্দর হবে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যক্তি জীবনের এ সকল আমলের নূর পরিবার ও সমাজকে আলোকিত করবে। মাহে রমজান এখন প্রায় বিদায়ের পথে। বাকি দিনগুলিতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে রমজানের সকল শিক্ষা অর্জন করার এবং বাকী ১১ মাস আমাদের জীবনে সে শিক্ষাগুলি প্রতিপালনের তাওফীক দিন। আমীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat