নিজস্ব প্রতিনিধি:- কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে নিয়োগের বিষয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে কোটাধারীদের নিয়োগ কমে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
সরকারি কর্মকমিশনের অধীনে সবশেষ তিনটি বিসিএসে ৬৭ থেকে ৭৭ শতাংশ নিয়োগ হয়েছে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে।
অর্থাৎ পাঁচ ধরনের কোটা বাদ দিয়ে সাধারণ মেধা তালিকায় যে পরিমাণ নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেটি ৫২ থেকে ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে চার ধরনের কোটা মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। তবে কোটার সব পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। কিন্তু এতদিন সেই পদগুলো শূন্য থাকত।
আর গত ৬ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। এই সিদ্ধান্তে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি নিয়োগ এখন সাধারণ মেধা তালিকা থেকে করা হচ্ছে।
৫ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘সকল সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হইলে সে সকল পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে।’
এই সিদ্ধান্ত শুরুতে বিসিএসের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সব নিয়োগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এই নীতিমালায় কোটাধারীদের নিয়োগ কমবে-এটা অনুমেয় ছিল। কিন্তু এতদিন কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল হক জানান, গত তিনটি বিসিএসে এই নীতিমালায় নিয়োগ দেয়ার পর সাধারণ মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
সচিবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৩তম বিসিএসএ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে ৭৭.৪০ শতাংশ, ৩৫ তম বিসিএসে ৬৭.৪৯ শতাংশ এবং ৩৬ তম বিসিএসে ৭০.৩৮ শতাংশ পদ পূরণ হয়েছে।
অবশ্য দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি।
অবশ্য কোটা নিয়ে বাংলাদেশে যত আন্দোলন হয়েছে তার সবই মূলত প্রথম শ্রেণির পদের চাকরি নিয়ে হয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী কোটা থাকলেও এই বিষয়টি নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত কথা তুলেনি। উচ্চশিক্ষিত বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা এই চাকরিতে এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখায়নি।