- প্রকাশিত : ২০১৮-০৯-০৫
- ৩০৬ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি ৬ সপ্টেম্বের বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"বিদ্যিুৎ, জ্বালানি ও খনজি সম্পদ মন্ত্রণালয়রে উদ্যোগে অন্যান্য বছররে ন্যায় এবারো ‘বিদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উদযাপতি হচ্ছে জনেে আমি আনন্দতি। বদ্যিুতরে সাশ্রয়ী ব্যবহার ও জ্বালানি নরিাপত্তা নশ্চিতিকরণে এ র্কমসূচি ইতবিাচক ভূমকিা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বদ্যিুৎ ও জ্বালানি টকেসই উন্নয়ন ও আধুনকি অগ্রযাত্রা ছাড়া অকল্পনীয়। বদ্যিুতরে ঝলমলে আলোয় বাংলাদশেরে প্রত্যন্ত অঞ্চল জগেে উঠছে।ে এ যনে নতুন যৌবনরে ডাক। র্বতমান যুগে তথ্য প্রযুক্তরি সুফল প্রতটিি ঘরে পৌঁছে দতিে বদ্যিুৎ অপরহর্িায। বাংলাদশেকে ২০২১ সালরে মধ্যে মধ্যম আয়রে এবং ২০৪১ সালরে মধ্যে উন্নত দশেরে র্মযাদায় আসীন করতে বদ্যিুৎ ও জ্বালানরি গুরুত্ব অপরসিীম।
বাংলাদশেরে র্অথনতৈকি প্রবৃদ্ধকিে অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্যিুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বতিরণ খাতে বভিন্নি র্কমসূচি গ্রহণ করছে।ে বগিত বছরগুলোতে নতুন অনকে বদ্যিুৎ কন্দ্রে স্থাপনরে মাধ্যমে র্বতমানে বিদ্যিুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মগোওয়াটে উন্নীত হয়ছে।ে দ্ব-িপাক্ষকি ও আঞ্চলকি সহযোগতিার মাধ্যমে ইতমিধ্যে ৬৬০ মগোওয়াট বদ্যিুৎ ভারত থকেে আমদানি করা হচ্ছ।ে ২০২১ সালরে মধ্যে সবার ঘরে ঘরে নরিবচ্ছন্নি বদ্যিুৎ পৌঁছানরে লক্ষ্যে সরকার দৃঢ় প্রতজ্ঞি।
জ্বালানি খাতওে উন্নয়ন র্কাযক্রম এগয়িে চলছে।ে ২০০৯ সাল হতে এ র্পযন্ত নতুন চারটি গ্যাসক্ষত্রে আবষ্কিৃত হয়ছে।ে গ্যাসরে দনৈকি গড় উৎপাদন ১৭৪৪ মলিয়িন ঘনফুট থকেে বৃদ্ধি পয়েে র্বতমানে ২৭৫০ মলিয়িন ঘনফুট হয়ছে।ে জ্বালানি নরিাপত্তা নশ্চিতিকরণ ও জ্বালানি বহুমুখীকরণরে জন্য কয়লা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তরলীকৃত প্রাকৃতকি গ্যাসরে ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়ছে।ে বদ্যিুৎ ও জ্বালানি খাতরে উন্নয়ন বাংলাদশেরে র্বধষ্ণিু র্অথনীতকিে আরো শক্তশিালী ও বগেবান করবে বলে আমার দৃঢ় বশ্বিাস।
বদ্যিুৎ ও প্রাকৃতকি গ্যাস উৎপাদন যমেন ব্যয়বহুল তমেনি তা সময়সাপক্ষে। দশে ও জাতরি র্স্বাথে তাই এই মূল্যবান সম্পদরে যথাযথ ব্যবহার নশ্চিতি করা অত্যন্ত জরুর।বিদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ জনগণকে বিদ্যিুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধসহ সাশ্রয়ী ব্যবহারে উৎসাহতি করবে বলে আমার বশ্বিাস।
‘বদ্যিুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ সফল হোক-এ কামনা করি
খোদা হাফজে, বাংলাদশে চরিজীবী হোক।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল। আমরাই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করেছিলাম।
২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা ও লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩,৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ১৪,১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ। আমরা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি তরল জ্বালানি, কয়লা, পারমাণবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছি। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করে জনগণের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।
গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ৪টি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। গ্যাসের ঘাটতি পূরণকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি ঘটবে। বিদ্যুৎ, সার-কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের নিকট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোত্তম জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবগত করার উদ্দেশ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে এই প্রকাশনাকে আমি স্বাগত জানাই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ‘অনির্বাণ আগামী’ ¯েøাগান সফল হউক।বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপচয় রোধ করে এর যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমি সকলকে অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..