ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-০৯
  • ৭৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ অভিযান চালিয়ে ৮০টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৮টি মামলায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে শুরু হওয়া বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সপ্তম দিনে আজ ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা আদায় করে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজ ১৩ হাজার ৭৬৩টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৪০১টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে আজ ১৮টি মামলায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।’
উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১৩৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৯৯১টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ৫টি মামলায় মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৮৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৮৯টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফিউল আজম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ২টি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৬৫৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৩০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ৪টি মামলায় মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৮৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৪১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২০৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং মোহাম্মদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ৪টি মামলায় ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ২৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৯২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৬৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৬৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৪৬০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫১৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩৪৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সগীর হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে ১টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭৮৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫৯৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat