চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, খুনি মোশতাক এক সময় বঙ্গবন্ধুর সহযোগী ছিলেন। জাতীয় চার নেতাও বঙ্গবন্ধুর সহযোগী ছিলেন। তবে খুনি মোশতাক ছিলেন সুযোগ সন্ধানী। তিনি নিজের স্বার্থে ও লোভের রাজনীতি করতেন। তবে চার জাতীয় নেতারা ছিলেন নিঃস্বার্থ। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা রাজনীতি করেননি।
তিনি বলেন, যার প্রমাণ, যখন জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মন্ত্রীর মতো উচ্চ পদে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা এসব লোভনীয় প্রস্তাব মেনে না নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অটল ছিলেন। তারা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন দেশকে ও বঙ্গবন্ধুকে কীভাবে ভালোবাসেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ চৌধুরী হাসনীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
আ জ ম নাছির বলেন, জাতীয় চার নেতার হত্যা দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। প্রয়াত চার নেতার রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যিনি আওয়ামী লীগ করেন জাতীয় চার মূলনীতির বাইরে অন্য কিছু ধারণ করতে পারেন না। একজন মুসলমান সত্যিকারের ধার্মিক হয়ে থাকলে অন্য ধর্মের মানুষদের অশ্রদ্ধা, অসম্মান করতে পারেন না।
তিনি বলেন, কি কারণে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়েছে, তা আমাদের সবার ধারণা রয়েছে। এর পেছনে কারা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে বন্দি থাকা অবস্থায় তারা শহীদ হন।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহীম চৌধুরী বাবুল, সুনীল কুমার সরকার, নোমান আল মাহমুদ, বদিউল আলম, হাসান মাহমুদ খোরশেদ, চন্দন ধর, জওহর লাল হাজারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।