বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
কথোপকথনে ড.মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর তাদের মধ্যে এফটিএ চুক্তি হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা পারস্পরিকভাবে লাভবান হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা সিঙ্গাপুরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা প্রসারে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
ড. মোমেন মিয়ানমারে তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে সিঙ্গাপুর ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন।
জবাবে ড. ভিভিয়ান আশ্বাস দিয়ে বলেন, সিঙ্গাপুর এব্যাপারে এবং সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য তাদের অব্যহত সমর্থন সক্রিয় রাখবে ।
ড. মোমেন চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর সময়টাতে প্ররাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রতি সিঙ্গাপুর সরকারের অব্যাহত সহায়তার কথা সন্তোষের সঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়ে বলেন যে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে তাদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। তিনি বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের সুবিধা গ্রহণ করে এখানে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সঞ্চালন খাতে আরও বিনিয়োগ করার জন্য সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।