ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম গ্রাহকরা তাদের আটকে পড়া টাকা ফেরত পেতে শুরু করেছে। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০ জন গ্রাহককে ৪০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গ্রাহকদের হাতে এই টাকার চেক তুলে দেন এবং একইসাথে ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা কিউকম গ্রহকদের অর্থ ফেরত প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, যেসব ক্রেতা কিউকম ডটকমে পণ্যের অর্ডার দিয়ে আগাম টাকা পরিশোধ করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এসব গ্রাহকদের টাকা এতদিন ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের একাউন্টে জমা ছিল। সেখান থেকে তালিকা করে প্রথম ধাপে ৬ হাজার ৭২১ জন গ্রাহককে ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, এদের মধ্যে থেকে আজ ২০ জন গ্রাহককে ৪০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, যেসকল গ্রাহক ডিজিটাল প্লাটফর্মে আগাম টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার দিয়েছেন, কিন্তু পণ্য পাননি এবং যাদের টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে, তারা সবাই পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরত পাবেন। তিনি বলেন, এর জন্য সরকার বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সচিব বলেন, সরকার দেশের জনগনের মধ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্ম বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আস্থার জায়গা তৈরি করতে চাই।
অনুষ্ঠানে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-কমার্সের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছিল, কিউকম গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে সেটি কেটে যাবে বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) মো. হাফিজুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।