দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার অর্থ বছর -২১ এ ৬.৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ২,৫৯১ ডলার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত অর্থবছরে (অর্থবছর ২১) জিডিপি’র আকার দাঁড়িয়েছে ৩৫,৩০২ বিলিয়ন টাকা বা ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আজ প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে র্ভাচুয়াল বৈঠকে যোগ দেন এবং নগরীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা এতে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সাময়িক প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, তবে শেষ পর্যন্ত তা বেড়েছে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে যখন কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন অন্যান্য অনেক দেশ কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই অর্জনে অত্যন্ত খুশি এবং তিনি এ সাফল্য দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী, জিডিপি’র আকার ছিল ৪১১ বিলিয়ন যা পরে ৪১৬ বিলিয়ন হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৫৯১ ডলার যা আগে প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২,৫৫৪ ডলার।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জাতীয় জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে কারণ দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের মতো খাতে অগ্রগতি হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা ব্রিফিংয়ে যোগ দেন।