আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য এবং কন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের জন্মদিনের স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম সত্যিকারের জননেতা ছিলেন। আমৃত্যু জনগণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিলো। তার মতো রাজনৈতিক নেতার কোন মৃত্যু নেই। তিনি আজীবন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
শনিবার উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে আয়োজিত মোহাম্মদ নাসিমের ৭৫তম জন্মদিনের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের রাজনীতির কিংবদন্তী। রাজনীতিতে তার চরিত্র ছিলো সাহসিকতায় ভরপুর।
সভাপতির বক্তব্যে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের সহধর্মিনী ও শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের ট্রাস্টি ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান লায়লা নাসিম বলেন, মোহাম্মদ নাসিম আমাকে যেমন ভালোবাসতেন, বিশ্বাস করতেন, সম্মান করতেন, তেমন স্বাধীনতাও দিয়েছেন। আমিও তাঁর বিশ্বাস এবং ভালোবাসার মূল্য দিতে চেষ্টা করেছি। তিনি যাতে নির্বিঘেœ রাজনীতি করতে পারেন এ জন্য আমি কখনো তাঁকে সংসারের দায়ভার গ্রহণ করতে দেইনি। আমি নিজে চাকরি করেছি, সংসার সামলিয়েছি, সন্তানদের মানুষ করেছি। কখনো রাজনীতি করা থেকে তাঁকে পিছু টানিনি, সবসময় সহযোগিতা করেছি।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান এমপি এবং সিনিয়র সাংবাদিক ওবায়দুল কবির বক্তব্য রাখেন।
সকালে বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মোহাম্মদ নাসিমের কবর জিয়ারত করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও মা মোসাম্মাৎ আমেনা মনসুরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।