পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদীর পানি দূষণমুক্ত ও প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। কারখানা থেকে নির্গত দূষিত বর্জ্য ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে নদী যেমন দূষিত হচ্ছে, তেমনি অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদী শাসনের কারণে স্বাভাবিক প্রবাহ হারাচ্ছে।
তিনি বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
প্রধান অতিথি বলেন, পরিবেশ আমাদের মূল্যবান সম্পদ। অপরিকল্পিত ইটভাটা ও শিল্পকারখানা মাটি, পানি ও বাতাসকে দূষিত করছে যা পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ দূষণের ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
নিরাপদ খাদ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার নিরাপদ খাদ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ জন্য খাদ্য উৎপাদনে কৃষি জমিতে জৈব সার ও পরিমিত কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের সচেতন করতে হবে।
ইকো ট্যুরিজম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, উত্তরাঞ্চলে ইকো ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। পলিথিন মাটির উর্বরতা নষ্ট করে ও পরিবেশে উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ ও কারখানা বন্ধে জোরালো অভিযান চালানো জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটরিয়াল অ্যাডভাইজার এ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
কর্মশালায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিচারকগণ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।