ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৮
  • ৮৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারে নতুন ধান আমদানি শুরু হয়েছে, কিন্ত কৃষকের মুখে হাসি নেই। ইতোমধ্যেই চৈত্র মাস থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও এখনও ৬০%  জমির ধান কাটা শেষ বাকি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত ভৈরব বাজারের আড়ৎগুলোতে নতুন ধান আমদানি হচ্ছে। বিশেষ করে হাওর জনপদের  কয়েকটি উপজেলা অষ্টগ্রাম, মিঠামইন, ইটনা এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ধান আসছে ভৈরব বাজার আড়ৎগুলোতে। স্থানীয় আড়ৎগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিমণ মোটা ধানের দাম ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা এবং প্রতিমণ চিকন ধান ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। হাওর এলাকা ছাড়াও স্থানীয়ভাবে ও আশেপাশের এলাকার নতুন ধানও ভৈরবের পাইকারি আড়ৎগুলোতে আমদানি হচ্ছে বলে আড়ৎ মালিকরা জানান। আমদানিকৃত ধান ভৈরব, আশুগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের রাইসমিল মালিকরা কিনছেন। ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক রহিম মিয়া বলেন, আমাদের জমিতে প্রতি বিঘা বোরো জমিতে  সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক, জ্বালানি তেলসহ সব মিলিয়ে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিঘা প্রতি গড়ে ১৮/২০ মণ ধান উৎপাদন হলে বর্তমান মূল্যে মুনাফা হয় না। এদিকে বাজারে নতুন চাল আমদানি হওয়াই চালের দামও কমে গেছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, এ সপ্তাহে ভৈরব বাজারে প্রতি কেজি চিকন বি আর ২৮/২৯ চাল পাইকারি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের দাম ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে রাইস মিল মালিকরাও নতুন ধান কিনে লাভবান হচ্ছেন না বলে রাইসমিলস মালিকরা দাবি করছেন। ভৈরব বাজারে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সিলেট জেলার প্রায় ২০টি উপজেলা থেকে নতুন ধান আমদানি হচ্ছে। হাওরের সাথে নদীপথে ভৈরবের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় নৌকা যোগে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ধান আমদানি হচ্ছে। ভৈরব বাজারে প্রায় শতাধিক ধানের আড়ৎ রয়েছে। আড়ৎ মালিকরা কমিশনের মাধ্যমে কৃষক ও ফরিয়া পাইকারদের আমদানিকৃত ধান ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। গত দুইমাস আগে ভৈরব বাজারে পুরান ধান ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। নতুন ধান আমদানির সাথে সাথে প্রতিমণ ৪/৫শ টাকা দাম কমে গেছে। ধান ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানিকৃত বেশির ভাগ নতুন ধান ভেজা থাকায় ধানের ওজন কম হয় বলে ধানের দাম বাজারে কম রয়েছে। সরকার এবার ধান চাল কিনতে প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৬ টাকা আর চাল ৩৮ টাকা। তবে সরকারি খাদ্য গুদামে শুকনা ধান সরবরাহ করতে হবে। স্থানীয় গুদামগুলোতে এখনও ধান চাল কেনা শুরু হয়নি, তবে আগামী মাস থেকে সরকার ধান চাল ক্রয় করবে বলে জানা যায়। ইটনা উপজেলা থেকে ভৈরবে ধান বিক্রি করতে আসা বাছির মিয়া জানান, গত বছর বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার পর এবার দেনা করে জমিতে ধান চাষ করেছি। দেনা শোধ করতে তাড়াতাড়ি ধান বিক্রি করতে হবে। কিন্ত বাজারে ধান বিক্রি করে কোন মুনাফা পাব না। সরকারি মূল্য পেলে লাভবান হতাম বলে জানান তিনি। ভৈরব উপজেলা কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন জানান, এদেশের অধিকাংশ কৃষক গরিব। তাই তাদেরকে বৈশাখ মাসের শুরুতেই ধান বিক্রি করতে হয়। কয়েকদিন পর ধান বিক্রি করলে কৃষরা ভাল দামে ধান বিক্রি করতে পারত।  সরকারি গুদামে বেশি বেশি ধান কিনলে কৃষকরা ন্যায্য দাম পেত। ভৈরব খাদ্য শষ্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীর জানান, আমদানিকৃত ধান বেশির ভাগই ভেজা তাই দাম কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat