নিজস্ব প্রতিনিধি:- ঢাকার রাস্তায় চলতে গিয়ে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে গেলে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়া বাহনটির নাম মোটরসাইকেল। আবার বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই বাহনের আধিক্য চোখে পড়ে। সব ধরনের ক্রেতার চাহিদার কারণে দেশে দ্রুত বাড়ছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। একই সঙ্গে পণ্যটির বাজারও দিন দিন বড় হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪-১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের মোটরসাইকেল ব্যবসায় ধস নামে। তবে সেই অবস্থা কাটিয়ে গত দুই বছরে আবার চাঙা হয়ে উঠেছে এ খাত। ২০১৬ সালে দেশে আড়াই লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ গত বছর গড়ে মোটরসাইকেলের বিক্রিতে ৩০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোটরসাইকেলের বিক্রি এত বৃদ্ধির পরও বাংলাদেশে বাহনটির ব্যবহার ভারত, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক কম। জাপানের বহুজাতিক ব্র্যান্ড ইয়ামাহার গবেষণা অনুযায়ী, এ দেশে প্রতি ১৬১ জনে একজন মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। ভারতে প্রতি ২০ জনে একজন, আর পাকিস্তানে প্রতি ১৭ জনে একজনের মোটরসাইকেল রয়েছে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে মোটরসাইকেলের ব্যবহার আরও বেশি। এ তিন দেশে প্রতি চার থেকে পাঁচজনে একজনের মোটরসাইকেল রয়েছে। মার্কেট রিসার্চ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন মোটরসাইকেলের বাজারের আকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ সিসি (ঘন সেন্টিমিটার) ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল। এই ক্ষমতার মোটরসাইকেলের বাজার অংশীদারত্ব মূল্যের দিক দিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ। দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এবং কম তেলে বেশি পথ চলার সুবিধার কারণে এই শ্রেণির মোটরসাইকেল ক্রেতাদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল। এটির বাজার অংশীদারত্ব প্রায় ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১২৫ থেকে ১৩৫ সিসি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের বাজার অংশীদারত্ব প্রায় ১৭ শতাংশ।